বিখ্যাত
কোম্পানি নেসলে আবার বিতর্কের মুখে পড়েছে । জানা যাচ্ছে নেসলের বেবিফুডে মেশানো হচ্ছে
চিনি । ভারতের বাজারে যে সমস্ত বেবিফুড বিক্রি হচ্ছে তার চিনি মেশাচ্ছে নেসলে সংস্থা
। যার ফলে শিশুদের অনেক ক্ষতি হতে পারে । নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে শিশুরা ।
এই খবরটি জানা গেছে সম্প্রতি পাবলিক
আই নামক এক সুইস সংস্থার অনুসন্ধানের মাধ্যমে । এর আগেও খাদ্য
সুরক্ষা নিয়ে বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছিল নেসলে । নিজেদের তৈরি ম্যাগি নিয়ে অনেক প্রশ্নের
মুখে পড়তে হয়েছিল এই বিদেশি সংস্থাকে । বেবিফুডে যে চিনি মেশানো হচ্ছে তার ফলে বাচ্চাদের
ঠিক কি ক্ষতি হচ্ছে জেনে নেওয়া যাক ।
বেবিফুডে চিনি থাকলে সেটি কেন ক্ষতিকর ?
বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী ২ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের চিনি খাওয়াতে নেই । বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থা ২০২২ সালে এই নিয়ে একটি কড়া নির্দেশ জারি করেছিলেন । সেখানে বলা হয়েছিল শিশুরা
খেতে পারে এমন কোনও খাবারে চিনি মেশানো যাবে না । কারন অল্প বয়স থেকে চিনি খাওয়া
শুরু করলে পরে চিনিজাতীয় খাবারের
দিকেই তাদের আসক্তি বাড়বে ।
যার ফলে ওবেসিটি অর্থাৎ
অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যেতে পারে । অতিরিক্ত ওজন
অল্প বয়স থেকেই ডায়াবেটিস, পেটের
সমস্যা, হার্ট ও লিভারের সমস্যা
নিয়ে হাজির হয় । এখন বহু তরুণ – তরুণীদের মধ্যেই এই সমস্যা গুলি দেখতে পাওয়া যায় ।
ভারত
ও ইউরোপের জন্য ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম –
নেসলের প্রাথমিক
বাজার হচ্ছে ব্রিটেন ও
ইউরোপে । ভারতে যেসব বেবিফুড
বিক্রি হয় সেগুলিতে চিনি মেশানো থাকলেও ব্রিটেন ও ইউরোপীয়
বাজারে বিক্রিত বেবিফুডে চিনি মেশানো হয় না । জানা
যাচ্ছে, ভারতের পাশাপাশি যেসব অল্প আয়ের দেশ রয়েছে সেগুলিতে বিক্রিত বেবিফুডে চিনি মেশানো হচ্ছে ।
কীভাবে সামনে এল এই ঘটনা ?
সুইস
সংস্থা পাবলিক আই এবং ইন্টারন্যাশনাল বেবিফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের একসাথে গবেষণার মাধ্যমে
এই পার্থক্য ধরতে পেরেছে । এর জন্য এশিয়া, আফ্রিকা
ও লাতিন আমেরিকা থেকে নেসলের বেবিফুডের নমুনা সংগ্রহ করা
হয়েছিল । নমুনা সংগ্রহ করার পর সেটিকে বেলজিয়ামের গবেষণাগারে পাঠানো
হয়েছিল । সেই গবেষণার মাধ্যমেই জানা গেছে ব্রিটেন ও ইউরোপে
বিক্রিত বেবিফুডে চিনি নেই । কিন্তু এশিয়া, আফ্রিকা
ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে চিনি মেশানো হয় । গবেষণার
মাধ্যমে জানা গেছে নেসলে ইন্ডিয়া
ভারতে প্রতি পরিবেশনে ২.২ গ্রাম
চিনি মেশায় ।
কি বলেছে নেসলে?
নেসলের কথা
মত তারা সময়ের সাথে চিনির পরিমাণ কমাচ্ছে । বেবিফুডে চিনির পরিমাণ ৩০ শতাংশ কমিয়েছে তারা । আরও বলেছেন যে, বেবিফুডে
গত ৫ বছর থেকে আস্তে আস্তে চিনির পরিমাণ কমানো হচ্ছে ।
SOURCE - ABP LIVE
আমাদের Whatsapp চ্যানেল | |
আমাদের Facebook চ্যানেল | |
আমাদের Telegram গ্রুপ |
Post a Comment
আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন