Green Energy Fuel : এখন প্রায়
প্রত্যেক বাড়িতেই বাইক রয়েছে । কেউ সখ পূরণে আবার কেউ যাতায়াতের সুবিধার ২ চাকার বা ৪ চাকার গাড়ি কেনে
। কোন ভাবে গাড়ি কিনে নিলেও, গাড়ির জ্বালানি জোগাড় করা মুখের কথা নয় । পেট্রোল ডিজেলের
দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষকে অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয় । গাড়ির জ্বালানি জোগাড় করতে
বেশ মোটা টাকা চলে যায় পকেট থেকে । এই খরচ জোগাতে মধ্যবিত্তদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে
হয় । পেট্রোল থেকে ডিজেল দুটিরই দাম ১০০ টাকার কাছাকাছি । তবে এবার আর চিন্তা নেই খুব
শীঘ্রই গাড়ির জ্বালানীর জন্য খরচ হবে মাত্র ৪ টাকা । কি মনে হচ্ছে? স্বপ্ন দেখছেন!
না স্বপ্ন নয় মুকেশ আম্বানির হাত ধরে মাত্র ৪ টাকায় পাবেন গাড়ির জ্বালানি ।
মুকেশ আম্বানির
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ বিশ্বের একটি নামি সংস্থার সাথে হাত মেলাতে চলেছেন । এবার ভারতে
তৈরি করা হবে গ্রিন হাইড্রোজেন
ও গ্রিন অ্যামোনিয়া । ভারতকে আর্থিক ভাবে সাহায্য
করতে চলেছেন লারসেন অ্যান্ড
টুব্রো নামক একটি সংস্থা । এই সংস্থাটি ১
লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছেন ।
এবার রিলায়েন্স
ইন্ডাস্ট্রিজ দীনদয়াল
পোর্ট অথরিটিতে (কান্দলা পোর্ট) বিনিয়োগ করবে । এবার স্থাপন করা হবে
গ্রিন হাইড্রোজেন
এবং গ্রিন অ্যামোনিয়া প্ল্যান্ট । বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায়
এই প্ল্যান্ট গুলি স্থাপন করা হবে । লারসেন অ্যান্ড
টুব্রো, গ্রিনকো গ্রুপ এবং ওয়েলসপন নিউ এনার্জির মত সংস্থা গুলির থেকে সাহায্য
পাওয়া যাবে । জানা যাচ্ছে, এই বিদেশী সংস্থা গুলি আগের বছর অক্টোবর মাসে নদয়াল
বন্দরের কাছে জমি কেনার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছিলেন । ৪ টি কোম্পানি
একত্রে ১৪টি প্লট কেনার পরিকল্পনা করেছিলেন । এক একটি প্লট প্রায় ৩০০ একরের কাছাকাছি । প্রায় ৪০০০ একরের জমি কেনার পরিকল্পনা চলছে ।
আরও জানা
যাচ্ছে যে, দীনদয়াল বন্দরের
কর্তৃপক্ষ ৪ কোম্পানিকে প্লট
বরাদ্দ দিয়েছে । প্রত্যেক প্লটে বছরে প্রায়
১০ লক্ষ টন গ্রিন অ্যামোনিয়া
উৎপাদন করা সম্ভব হবে । ১৪ প্লট ৪ টি সংস্থাকে
ভাগ করে দেওয়া হয়েছে । ১৪ প্লটের মধ্যে ৬টি প্লট
দেওয়া হবে রিলায়েন্স
ইন্ডাস্ট্রিজকে । এল
এন্ড টি সংস্থা পাবে ৫ টি, গ্রিনকো
গ্রুপকে দেওয়া হবে ২ টি এবং
আর ১ টি পাবেন ওয়েলসপন নিউ
এনার্জি ।
গ্রিন হাইড্রোজেন এবং অ্যামোনিয়া উৎপাদন –
এই জমিতে
৭০ লাখ টন গ্রিন অ্যামোনিয়া ১৪ লাখ টন গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন করার লক্ষ্য রয়েছে । এই বন্দরটি
কচ্ছ উপসাগরে
অবস্থিত । যার ফলে এই বন্দর
থেকে রপ্তানি করা অনেক সহজ হবে । এই গ্রিন হাইড্রোজেন
ইলেক্ট্রোলাইজিং জলের মাধ্যমে উৎপাদিত হয় । এর জন্য পুনর্নবিকরণ শক্তি ব্যবহার হয়ে থাকে । তার জন্য এর থেকে কার্বন
নিঃসরণ হয় না ।
কীভাবে ৪ টাকায় ১ km যাওয়া যাবে?
এবার ১ কিলোমিটার
যাওয়া যাবে মাত্র ৪ টাকায় । ভবিষ্যৎ
জ্বালানি হিসাবে হাইড্রোজেনকেই
দেখা হয় । হাইড্রোজেন ইঞ্জিনে
চলা গাড়ি ব্যবহার করলে দূষণ ঘটবে না ।
এর পাশাপাশি হাইড্রোজেন ইঞ্জিনে
চলা গাড়িগুলি
জ্বালানী ব্যবহার করে, যেটি হাইড্রোজেন ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকে । অক্সিজেনের সঙ্গে হাইড্রোজেন মিশে গিয়ে ধোঁয়া বের হওয়ার পরিবর্তে
জলের স্প্রে বের হয়ে থাকে । এরফলেই দূষণ হয় না
। বর্তমান সময়ে পেট্রোল বা ডিজেল ব্যবহৃত গাড়ি গুলি ১ কিলোমিটার চালাতে ৮ – ১০ টাকা
খরচ হয় । সেখানেই গ্রিন
হাইড্রোজেনের দাম অনেক কম, বলা যেতে পারে এর থেকে
অর্ধেক । প্রতি
কিলোমিটারে ৪ থেকে ৫
টাকা পারবে গ্রিন হাইড্রোজেনের দাম । দূষণ কমাতে এবং সমস্ত সাধারণ
মানুষের কথা ভেবে এবার চালু করা হবে গ্রিন হাইড্রোজেন
ও গ্রিন অ্যামোনিয়া ।
আমাদের Whatsapp চ্যানেল | |
আমাদের Facebook চ্যানেল | |
আমাদের Telegram গ্রুপ |
Post a Comment
আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন