Online Pickle Business : এই দেশের
মানুষের কাছে ব্যবসা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে । পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও
বাড়িতে বসে অনেক ব্যবসা করে । প্রত্যেক মহিলাই স্বনির্ভর হতে চায় । তাই বেশিরভাগ গৃহবধু
বা বাড়ির মেয়েরা তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করতে চায় না । নিজের সময়কে কাজে লাগিয়ে যেকোনো
কিছুর ব্যবসা করে আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠার চেষ্টা করে ।
বহু মহিলাই
ব্যবসা করতে চায়, কিন্তু সঠিক রাস্তা খুঁজে পায়না । অনেকেই আছে যারা ব্যবসা করতে চায়
কিন্তু কোন ব্যবসা করলে ভালো ইনকাম হবে সেটি বুঝতে পারে না । এর আগে আমরা আপনাদের কাছে
অনেক ব্যবসার খবর নিয়ে এসেছি, যে ব্যবসা গুলি করার জন্য স্বল্প কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে
হয় । আজও সেরকম একটি ব্যবসার খবর নিয়ে চলে এলাম যেটি খুব সহজেই মহিলারা স্বল্প বিনিয়োগ
করে বাড়িতে বসেই করতে পারবে । তো চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ব্যবসা সম্পর্কে ।
এই ব্যবসা শুরু নিয়ে কিছু পরামর্শ -
বাড়িতে বসে
এই খাবারটি বানিয়ে দোকানে দোকানে বিক্রি করলে আপনাকে আর টাকার চিন্তা করতে হবে না ।
এই বিশেষ খাবারটি হচ্ছে আচার । আমরা কম বেশি সকলেই আচার খেতে ভালোবাসি । তাহলে এবার
এই আচারের ব্যবসা করলে কেমন হয় । এই ব্যবসার সবসময় বাজার থাকবে । কারন বছরের
বিভিন্ন মরশুমে বিভিন্ন আচারের চাহিদা বাড়ে । তাই এর চাহিদা কখনো
কমবে না । আচার বিক্রি
করে বহু মহিলা নিজের সংসার চালান । আপনি খুব সহজেই এই ব্যবসা করতে পারবেন ।
এই ব্যবসা
ঘরে থেকেই শুরু করতে পারেন । পরবর্তীকালে ব্যবসা বাড়তে শুরু করলে, তখন অন্য জায়গায়
নিয়ে যাওয়া যাবে । তাই প্রথমেই খুব বেশি খরচ হবে না । তবে এই ব্যবসা করার জন্য খোলা
জায়গার প্রয়োজন । আচার তৈরি,
আচার শুকানো, আচার প্যাকিং ইত্যাদির জন্য বেশ খানিকটা খোলা জায়গা লাগবে
। আচার যাতে দীর্ঘদিন ভালো থাকে তার জন্য পরিচ্ছন্নতা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ।
ব্যবসায় খরচ ও লাভের পরিমাণ কত?
এই ব্যবসাটি
শুরু করার জন্য খুব বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে না । প্রথমে বাড়ি থেকে এই ব্যবসা শুরু
করুন পরে ব্যবসা বাড়লে অন্য জায়গায় ব্যবসা করবেন । মাত্র ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেই
এই ব্যবসা শুরু করা যাবে । মাত্র ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই প্রত্যেক মাসে ২৫ – ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন ।
কীভাবে বিক্রি করবেন ?
আচার গুলি
ছোটো ছোটো প্যাকেটে অথবা কৌটোতে ভরে বিক্রি করতে পারবে । ২৫০ থেকে শুরু করে ৫০০, ১ কেজির কৌটো করতে পারেন । আপনার প্রোডাক্ট মানুষের
পছন্দ হবে এরকম ভাবেই সেটিকে তৈরি করতে হবে । টেস্টের পাশাপাশি প্যাকিংয়ের উপরও লক্ষ
রাখতে হবে । আপনি চাইলেই আপনার প্রোডাক্টটি অনলাইন প্যাল্টফর্মের মাধ্যমে প্রচার করতে
পারেন এবং বিক্রি করতে পারেন । এছাড়া অফলাইনেও যেকোনো দোকানে পাইকারি, খুচরা বাজার
এবং খুচরা চেইনে আচার বিক্রি করতে পারেন ।
লাইসেন্স –
যেকোনো ব্যবসা
করতে গেলে তার লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় । এটা যেহেতু একটি খাবার জিনিস তাই অবশ্যই ফুড
লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে । ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া
(FSSAI) থেকে এই লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন ।
আমাদের Whatsapp চ্যানেল | |
আমাদের Facebook চ্যানেল | |
আমাদের Telegram গ্রুপ |
Post a Comment
আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন