ইয়াস এর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধ্বস্ত এলাকার ক্ষতিপূরণ করার জন্য মাত্র একদিনের মাথাতেই ব্লুপ্রিন্ট ও তৈরি করে নিয়েছিলেন মাননীয়া। যদিও তিনি আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ইয়াস এর বিপর্যয় কাটলেই সবচেয়ে দ্রুত উদ্ধারকাজ, ক্ষতিপূরণের কাজ শুরু হবে।
Cick To Join Our - Whatsapp Group
JOIN : - WB PRIMARY TET WHATSAPP GROUP
আপাতত রাজ্যের তরফ থেকে ১০০০ কোটি টাকা দিয়ে এই কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়। এব্যাপারে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স তৈরি করাও হয়। মুখমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিয়ে জানান, এই বরাদ্দ টাকা যেন ঠিক মত খরচ করা হয়। আর এই ত্রাণের টাকা পৌঁছে দিতে সরকারের 'দুয়ারে ত্রাণ' প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে।
আর আজ থেকেই আজ থেকে শুরু হল রাজ্য সরকারের দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচি। প্রথম পর্যায়ে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। এই আবেদন পত্র নেওয়া হবে ১৮ জুন পর্যন্ত। এরপর আবেদন পত্র ঠিকমতো যাচাই করে দেখা হবে, কার কেমন ক্ষতির পরিমাণ। সেই অনুযায়ী তাদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ প্রথমে আবেদন, তারপর আবেদন পত্রের যাচাই। তারপর ১ জুলাই থেকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে অর্থ।
২৭ মে প্রকাশিত সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৩ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ১৯ থেকে ৩১ জুন পর্যন্ত জমা পড়া আবেদনগুলি খতিয়ে দেখা হবে। এরপর পয়লা জুলাই থেকে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকে যাবে সরকারি সাহায্যের টাকা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে আবেদনপত্র গ্রহণের জন্য ৩৪টি ক্যাম্পও তৈরি করা হয়েছে।
‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পের জন্য একাধিক টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে নবান্ন। সবার ওপরে রয়েছে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন স্টেট লেভেল টাস্ক ফোর্স। জেলাস্তরে জেলাশাসকের নেতৃত্বে তৈরি করা হচ্ছে ডিস্ট্রিক্ট লেভেল টাস্ক ফোর্স। এছাড়াও মহকুমাশাসকের অধীনে সাব ডিভিশন লেভেল এবং ব্লক স্তরে বিডিওর অধীনে ব্লক লেভেল টাস্ক ফোর্স থাকছে। কলকাতায় ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে থাকবে পুরসভার তরফে তৈরি টাস্ক ফোর্স।
কোন ধরনের ক্ষতির ক্ষেত্রে, কত টাকা পর্যন্ত সাহায্য করা হবে, তাও বলা হয়েছে নোটিসে। ফসল নষ্টের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ আড়াই হাজার ক্ষতিপূরণ পাবেন কৃষকরা। পানের বরজ (ছোটো, বড়ো যেমন হোক) ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন কৃষকরা।
ঘূর্ণিঝড়ে গবাদি পশু (গরু ও মহিষ) মারা গিয়ে থাকলে, ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ভেড়া, ছাগল এবং শুয়োর মারা গিয়ে থাকলে, কেনার জন্য ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। ষাঁড় দুর্যোগে মারা গিয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে এক একটির জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। বাছুর মারা গিয়ে থাকলে ১৬ হাজার টাকা করে মিলবে।
যাঁদের ঘরবাড়ি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাঁদের পরিবার পিছু ২০ হাজার টাকা করে দেবে সরকার। ঘরবাড়ি আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তাদের পরিবার পিছু ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
ঝড়ের দাপটে মৎজীবীদের নৌকো সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রতি নৌকার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। নৌকা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন তাঁরা। মাছ ধরার জাল কিনতে ২ হাজার ৬০০ টাকা করেও পাবেন তাঁরা। মৎস্যচাষীরা নতুন করে হাঁড়ি কেনার জন্য ৩০০ টাকা করে পাবে।
এছাড়াও, হস্তশিল্পীদের যন্ত্রপাতি কিনতে মাথা পিছু ৪ হাজার ১০০ টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। কাঁচামাল কিনতেও মাথা পিছু ৪ হাজার ১০০ টাকা করে পাবেন তাঁরা। গুদামঘর, দোকান বা জিনিসপত্র মজুত রাখার জায়গা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ‘ইউনিট’ প্রতি ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
CLICK HERE TO DOWNLOAD - BANGLA CALENDER 2020
রাজ্য সরকার তথা কেন্দ্রীয় সরকারের সকল প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য পেতে "কর্মসাথী প্রকল্প" নামে অ্যাপটিকে ডাউনলোড করুন । অ্যাপটি গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন - CLICK HERE
আমাদের তৈরি প্রচেষ্টা প্রকল্প APP টিতে আপনি প্রচেষ্টা প্রকল্প সম্বন্ধিত সমস্ত তথ্য পাবেন । তবে এটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি । প্রচেষ্টা প্রকল্প সম্বন্ধিত তথ্য সরবরাহ করায় অ্যাপটির মূল উদ্দেশ্য । অ্যাপটিকে ডাউনলোড করতে নিচের নিচের বোতামে ক্লিক করুন -
MOST IMPORTANT LINKS
Post a Comment
আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন