সারাদিন ওয়াইফাই চালালে কতটা ক্ষতি হয় শরীরের? জানুন বিস্তারিত
গত দেড় বছর ধরে যে ভাবে একটা ছোট্ট অণুজীব আমাদের গৃহবন্দী করে রেখেছে তাতে অফিস-আদলত প্রায় বন্ধ দিতে হয়েছে সকলকে। কিন্তু ঘরবন্দি বলে তো আর কাজ বন্ধ রাখা যাবে না। তাই অফিস ছেড়ে বাড়িতে বসে কাজই নিউ নর্মাল। যার পোশাকি নাম ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’। আর এইভাবে ঘরে বসে কাজ করতে যে জিনিসটা সব থেকে বেশি দরকার হচ্ছে তা হল ইন্টারনেট। যদিও ইন্টারনেট এখন আমাদের জীবনের সব ক্ষেত্রেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছে।
Cick To Join Our - Whatsapp Group
JOIN : - WB PRIMARY TET WHATSAPP GROUP
তবে বাড়ি বসে কাজ করার জন্য সেটার ব্যবহার আরো অনেক বেশি বেড়ে গেছে। আর সব সময় ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য অনেকেই ব্যবহার করেন ওয়াইফাই রাউটার। তা থেকে তরঙ্গের মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছে যায় কম্পিউটার বা ফোনে। এই যে আমরা সারাটা দিন ইন্টারনেটের মধ্যে দিয়ে কাটাচ্ছি, কিন্তু এটা আমাদের শরীরের জন্য কতটা নিরাপদ? অনেকেই রাতেও বন্ধ করেন না এই রাউটার। সেটাও কি স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে?
বৈদ্যুতিন যন্ত্র থেকে দু’ধরনের বিকিরণ হয়। ‘আয়নাইজিং’ এবং ‘নন-আয়নাইজিং’। ওয়াইফাই, ব্লুটুথ যন্ত্রের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় দ্বিতীয়টি। দ্বিতীয়টি সে ভাবে শরীরের ক্ষতি করে না বলেই দাবি করে এসেছেন বিজ্ঞানীরা।
যদিও হালে জার্মানির ‘ফেডেরাল অফিস ফর রেডিয়েশন প্রোটেকশন’ সাবধান করছে ‘নন-আয়নাইজিং’ বিকিরণ নিয়েও। বলা হচ্ছে, ওয়াইফাই-এর সিগন্যালের মধ্যে সবসময় থাকলে তার কুপ্রভাব পড়তে পারে শরীরে। মস্তিষ্কের কোষে তার প্রভাব পড়তে পারে। এমনকি ডিএনএ-র গড়নেও বেশ বড়ো ধরণের বদল আসতে পারে।
এই তরঙ্গের কুপ্রভাব থেকে রক্ষা পেতে, জার্মানির ‘ফেডেরাল অফিস ফর রেডিয়েশন প্রোটেকশন’-এ তরফে কতগুলি পরামর্শও দেওয়া হয়েছে । সেগুলি হল:
যখন ব্যবহার করছেন না তখন ব্লুটুথ স্পিকার বা রাউটার বন্ধ রাখুন।
ইন্টারনেটের প্রয়োজন না থাকলে সেই সময়ে ওয়াইফাই তো বটেই ফোনের ডেটা-ও বন্ধ করে দিন।
যদি সম্ভব হয়, ওয়াইফাই ব্যবহার না করে তারের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করুন।
ঘুমানোর সময় অবশ্যই ওয়াইফাই রাউটার বন্ধ করে দিন।
Post a Comment
আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন