মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়নের ভবিষ্যৎ ঘোষণা আজ
শেষ পর্যন্ত এ বছরের রাজ্যের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। এই অতিমারীর সময়ে পরীক্ষা নেওয়া কতটা সুরক্ষা যুক্ত তা জনটিকটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া হয়েছিল। যেখানে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, মনোবিদ, চিকিৎসক ও শিশু সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা রয়েছেন। কমিটিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। এবং কমিটির তৈরি রিপোর্ট অনুযায়ী বলা হয়, এখনই পরীক্ষা নেওয়া অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা হলে পড়ুয়া দের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
Cick To Join Our - Whatsapp Group
JOIN : - WB PRIMARY TET WHATSAPP GROUP
তাছাড়াও পরীক্ষা নেওয়া, না নেয়ার ব্যাপারে রাজ্য সরকার ইমেল মারফত জনগণের রায়ও জানতে চাই আর সেই জনমতের নিরিখেই বাতিল করা হল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। গত সোমবার, ৭ জুন সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, পড়ুয়াদের মূল্যায়ন কী ভাবে হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে সাত দিনের মধ্যে। সেই অনুযায়ী আজ, সোমবার মূল্যায়নের পদ্ধতি ঘোষণা করার সম্ভাবনা প্রবল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, উচ্চমাধ্যমিক এর মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সেই পরীক্ষার্থীর মাধ্যমিকের ফলকে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এবং মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে পড়ুয়ার দশম শ্রেণির অন্তর্বর্তী মূল্যায়নে পাওয়া নম্বরকে নিয়ে চূড়ান্ত ফল তৈরির কথা ভাবা হয়েছে।
উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে দ্বাদশ শ্রেণির ল্যাবরেটরি-ভিত্তিক বিষয়ে ৩০ নম্বরের প্র্যাক্টিক্যাল এবং ‘নন-ল্যাব’ বিষয়গুলির ২০ নম্বরের প্রজেক্টের নম্বরের সঙ্গে মাধ্যমিকে পাওয়া নম্বরকে গুরুত্ব দিয়ে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হতে পারে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা হওয়া বা না-হওয়া এবং পরীক্ষা না-হলে মূল্যায়ন কী ভাবে হবে, সেই বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য যে-বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া হয়েছিল, মাধ্যমিকের পড়ুয়াদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নবম শ্রেণির ফলাফলকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল তারা।
কিন্তু পরবর্তী কালের আলোচনায় উঠে আসে, নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা মোটেই মাধ্যমিক পরীক্ষার মানের নয়। মাধ্যমিকের জন্য ছাত্রছাত্রীরা অনেক বেশি একাগ্রতার সঙ্গে প্রস্তুতি চালায়। আর এছাড়াও, এখন মাধ্যমিক পরীক্ষা হয় শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে।
আবার দশম শ্রেণীর যে ১০ নম্বরের অন্তর্বর্তী মূল্যায়ন হয় সেখানে দেখা যায়, প্রায় সব ছাত্রছাত্রীই বেশ ভাল নম্বর পাচ্ছে। তাই শুধুমাত্র এই নম্বরকে গুরুত্ব দিলেও ছাত্রছাত্রীদের মেধার প্রকৃত মান বের করা সম্ভব নয়।
সেই জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে বিকাশ ভবনে যে-প্রস্তাব গিয়েছে, তাতে ছাত্রছাত্রীদের মেধা এবং প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরকে কিছুটা গুরুত্ব দিয়ে তার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের নম্বর নিয়ে বিশেষ ফর্মুলায় মার্কশিট তৈরি কথা জানানো হয়েছে বলেই খবর।
Post a Comment
আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন