ম্যাগি , কিটক্যাট এসব কি আদৌ নিরাপদ ? আবার উঠলো প্রশ্ন।
ফাস্টফুড কে না ভালোবাসে? নুডলস, চকোলেটর নাম শুনলেই ৮ থেকে ৮০ প্রায় সকলেরই জিভে আটকানো মুশকিল হয়ে যায়। মন খারাপের আর ওষুধ তো এখন এই ফাস্টফুড গুলো হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কর্পোরেট যুগে ফ্রাস্ট্রেশন থেকে বাঁচতে তো আমরা অনেকেই প্যাকেটের পর প্যাকেট চকোলেট শেষ করে ফেলি নিমেষেই। আর কাজের চাপে রান্না করার সময় না পেলে, সময় পরিশ্রম বাঁচাতে চট করে বানিয়ে ফেলি নুডলস। তাছাড়াও গরমের থেকে আরাম পেতে তো মিনিটে মিনিটে গলায় ঢালতে থাকি নানান ঠান্ডা পানীয়।
Cick To Join Our - Whatsapp Group
JOIN : - WB PRIMARY TET WHATSAPP GROUP
তাই ম্যাগি, কিটক্যাট, নেসক্যাফে - এই সবের নাম শোনেনি এমন মানুষ হয়তো খুব কমই আছে। আর এগুলি তৈরির সংস্থা হল নেস্টলে। যার নাম তো পুরো পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত। এই সব খাবার তো খায় আমরা। কিন্তু আদেও কি জানি কতটা নিরাপদ এইসব পণ্য? অন্য কোনো খাদ্য সংস্থা বা সরকারি দাবি নয়, খোদ নেস্টলেই জানাচ্ছে তাদের ৬০ শতাংশের বেশি খাদ্য ও পানীয় তথাকথিত ‘স্বাস্থ্যকর’ খাদ্যের মধ্যে পড়ছে না।
এর আগেও ম্যাগিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এমনকি ভারতীয় বাজার থেকে বেশ কয়েক মাসের জন্য বন্ধও করা হয়েছিলো ম্যাগিকে(যদিও শেষ পর্যন্ত গুনগতমান বিচার করে আবার বাজারে আনা হয় ম্যাগি)। তবে আবারও একবার আলোচনায় উঠে এল ম্যাগি-সহ নেস্টলের তৈরি পণ্যের গুণমান সংক্রান্ত প্রশ্ন।
ফিনান্সিয়াল টাইমস’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নেস্টলের তৈরি মাত্র ৩৭ শতাংশ খাদ্য ও পানীয়রই নির্মাণের রেটিং ৩.৫। এই রেটিং অস্ট্রেলিয়ার ‘হেলথ স্টার রেটিং সিস্টেম’ থেকে জানা যাচ্ছে।
যেহেতু নেস্টলে একটি আন্তর্জাতিক খাদ্য সংস্থা তাই, গোটা বিশ্বেই নেস্টলের তৈরি খাদ্যপণ্যের রমরমা। নেস্টলের তৈরি ম্যাগি জনপ্রিয়ের নিরিখে একেবারে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নেসক্যাফে। সব মিলিয়ে এই সব খাদ্য ও পানীয়র মধ্যে ৬০ শতাংশই স্বাস্থ্যকর নয়। সংস্থার তরফে একথা মেনে নেওয়া হয়েছে। এবং তারা নিজেরাই জানিয়েছে এদের মধ্যে অনেক পণ্যই কখনও স্বাস্থ্যকর ছিল না। এই পণ্য গুলির প্রক্রিয়া এমনই ছিল যে চেষ্টা করেও সেগুলিকে স্বাস্থ্যকর করা যায়নি। সেই কারণেই সব পোর্টফোলিও এবার বদলাতে চাইছে তারা।
নেস্টলে জানাচ্ছে, তাদের তৈরি খাদ্যসামগ্রীতে পুষ্টিকর উপদান খুঁজে দেখে তারপর নতুন করে বিষয়টা নিয়ে ভাবা হবে। সংস্থার তরফে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাদ্য তৈরির ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে নেস্টলে।
সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, এই নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। তাদের উৎপাদিত বহু সামগ্রীতেই চিনি ও সোডিয়ামের ব্যবহার কমানো হয়েছে। গত ৭ বছরে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ চিনি ও সোডিয়ামের ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Post a Comment
আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন