জনসেবা করার জন্য জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মসনদে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে জেতার পর থেকেই আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো, সেগুলি একে একে পালন করতেও শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকার। তিনি বরাবরই মানুষের মাঝে আসে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন। যেকোনো বিপর্যয়ে পথে নেমেই কাজ করে গেছেন তিনি।
Cick To Join Our - Whatsapp Group
JOIN : - WB PRIMARY TET WHATSAPP GROUP
পশ্চিমবঙ্গ তাঁর সরকারে আমলে বহু বারই নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। আর সেই প্রত্যেকটি সময়েয় সামনের সারিতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রত্যেক বারই তিনি নিজেই নবান্নে তৈরি কন্ট্রোলরুমে বসে গোটা পরিস্থিতি দেখে দরকারি পরামর্শ দিয়েছেন। ফণী’, ‘আমফান’-এর মতো শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড়ের সময় তাঁর ভীষন রকমের সক্রিয়তা দেখা গিয়েছিল।
আবহাওয়াবিদ দের অনুমান অনুযায়ী, গত বছরের আমফানের স্মৃতিকে তরতাজা করতে, আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে এবার আসছে ‘যশ’ ঘূর্ণিঝড়। তবে
তার মোকাবিলা করার জন্য আবারো মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন একেবারে সামনের সারিতে। সূত্রের খবর, ২৫ এবং ২৬ মে, অর্থাৎ যে সময়ে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়বে বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলে, ওই দুদিন নিজে কন্ট্রোলরুমে থাকবেন তিনি।
যশ এর মোকাবিলা করার জন্য নবান্নের পাশে উপান্নে তৈরি করা হবে বিশেষ কন্ট্রোলরুম। সেখানেই সারারাত উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সশরীরে। এ নিয়ে তিনি জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা বলে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের পোস্টে যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাজের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত বছরের আমফান ঝড় এর ভয়ানক স্মৃতি এখনো কাটেনি মানুষের মন থেকে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ তছনছ করে দিয়েছিল বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে। এর স্মৃতি কাটতে না কাটতে এই বছরেও আবার এক আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আবারো নাকি ধেয়ে আসছে আমফানের মতো ভয়ঙ্কর এক ঘূর্ণিঝড় 'যশ'!
গত বছরের সেই ঝড়ের তাণ্ডবকে মাথায় এবারও অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। উপকূলবর্তী জেলা অর্থাৎ দুই ২৪ পরগনা, পূ্র্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতির পাশাপাশি কলকাতাতেও চলছে জোরদার পরিকল্পনা।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী কলকাতা পুরসভায় আলাদা কন্ট্রোলরুম খোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। ভিডিও বৈঠকে দফায় দফায় আধিকারিকদের এই সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। আগামী সপ্তাহে সমস্ত পুরকর্মী, বিপর্যয় মোকাবিলা ও পুলিশের ছুটি বাতিল হয়েছে। আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নবান্নের পাশে উপান্নেও একটি কন্ট্রোলরুম তৈরি হচ্ছে। এই কন্ট্রোলরুমেই ২৫ ও ২৬ তারিখ সারারাত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তর আন্দামান সাগরে যে নিম্নচাপটি রয়েছে, সেটিই ২২ মে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। তারপরই তা স্থলভাগের দিকে ধীরে ধীরে সরতে থাকবে। শক্তি বাড়িয়ে ২৫ তারিখ থেকে তাণ্ডব শুরু করবে। ওইদিন থেকে বৃষ্টিতে ভাসতে পারে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা। শেষে ২৬ মে সকালেই উপকূল এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’।
তবে ‘যশ’ কবে, কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। এই ঘূর্ণিঝড় এর সঙ্গে মোকাবিলা করার চেষ্টায় ইতিমধ্যে একাধিক পদক্ষেপও নিতে শুরু করেছে প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে শনিবার দুপুর থেকেই মাইকিং শুরু হয়েছে।
তবে এক কথায় বলা যায়, আসন্ন বিপর্যয় থেকে রাজ্যবাসী দের সুরক্ষিত রাখার সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রশাসন।
Post a Comment
আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন