বিনা পুঁজিতে
এই ব্যবসাটি শুরু করুন , মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করুন
Start this business without capital earn thousands of rupees a month : ব্যবসা করতে পুঁজি
লাগে না । এই ধারনাটা এবার ভেঙ্গে ফেলুন । ব্যবসা করতে লাগে কিছু ক্রিয়েটিভ আইডিয়া
। মাথায় রাখবেন একটি বাজারে মিষ্টির দোকান ১০ টি থাকতে পারে ! কিন্ত সবগুলিতেই কি সমান
ভিড় হয় ? কোন একটি বা দুটি দোকানে বেশি ভিড় হয় । কিন্তু কেন ?
এই কেনর মধ্যেই
রয়েছে ব্যবসায় আপনার সফলতার রহস্য ! কি এমন রয়েছে সেই দোকানটির মধ্যে যা অন্যদের নেই
! সেই কারণটি খুঁজে বের করুন ! দেখতে পাবেন প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কিছু না কিছু কারন
থাকবেই ! এবার আপনি ভাবুন আপনি কোন ব্যাবসা শুরু করবেন ? তারপর ভাবুন সেই ব্যবসা তো
অন্য অনেকেই করে , তাহলে আপনার কাছেই কেন মানুষ আসবে ? এই কেনর উত্তর যেদিন বার করতে
পারবেন ! এবং যেদিন ব্যবসায় সেটিকে কাজে লাগাতে পারবেন সেদিনই আপনি হবেন সফল ব্যবসায়ী
!
ব্যবসা শুরু করার
ধাপসমূহ –
ব্যবসা শুরুর
চারটি ধাপে আমরা ভাগ করতে পারি । যথা -
প্রথম – আগে ঠিক
করতে হবে কি ব্যবসা করবেন ?
দ্বিতীয় – সেই
ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান ।
তৃতীয় – নিজের
ব্যবসার প্রচার করতে হবে ।
চতুর্থ – ব্যবসায়
কাস্টমার এলে তাদের ধরে রাখতে হবে ।
এই চারটি ধাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ । প্রথমেই ঠিক করুন কি ব্যবসা করবেন ? এইটাই প্রথম এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ । ব্যবসা করতে পুঁজি লাগে এটা যেমন সত্য । ঠিক সমানভাবে সত্য সব ব্যবসাতে পুঁজি লাগে না । তাই আমাদের এমন আইডিয়া ভাবতে হবে কি এমন ব্যবসা রয়েছে যাতে কোন পুঁজি লাগে না ?তবে আপনি যদি ভেবে থাকেন প্রথমেই একটা কারখানা খুলে ব্যবসা করবেন । তাহলে এখানেই থেমে যান । মনে রাখবেন প্রত্যেকটি বড় বড় কোম্পানির শুরুটা কিন্তু একদম ছোট্ট থেকেই শুরু হয়েছিল । তাই আপনাকেও প্রাথমিকভাবে লক্ষ্যটা ছোট রাখতে হবে । তবে আপনি সঠিক লক্ষ্যে এগিয়ে গেলে আপনার ব্যবসা বড় হতে সময় লাগবে না ।
চলুন আপনার সাহাযার্থে
আমরা কিছু ক্রিয়েটিভ আইডিয়া আপনাদের দেবো যার মাধ্যমে আপনারা একটি কম প্রতিযোগিতা রয়েছে
অথবা প্রতিযোগিতায় নেই এমন কিছু ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং জীবনে সফল হতে পারবেন ।
আজ আমরা যে ব্যবসাটি
নিয়ে আলোচনা করবো চলুন সেটার নাম দেওয়া যাক “উৎসব পরিচালক” । এই কাজে আপনার কোন পুঁজি লাগবে না । কিন্তু খুব
সহজেই একটা সম্মানজনক আয় করতে পারবেন । তো চলুন শুরু করা যাক –
উৎসব পরিচালক
সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য –
উৎসব পরিচালক
আসলে কি ? মূলত শহরাঞ্চলে এটা ইভেন্ট ম্যানেজার নামে পরিচিত । তবে গ্রামে এখনও সেভাবে
এই কাজটি পপুলার নয় । তাই এটাই আপনার কাছে একটা বড় সুযোগ ।
উৎসব পরিচালকের
কাজ কী ?
আমাদের জীবনে
বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান লেগেই থাকে । এখন কোন একটি বিয়েবাড়ির খাওয়া দাওয়ার করানোর জন্য
তাকে প্যান্ডেল , লাইট , রাঁধুনি , গ্যাস , কাজের মাসি , ক্যাটারিং সবকিছুকে আলাদা
আলাদাভাবে ব্যবস্থা করতে হয় । কেমন হয় যদি এই পুরো বিষয়টা একটা জায়গাতেই পেয়ে যায়
? যদি কাস্টমার একজায়গাতেই সবকিছু পেয়ে যায় তাহলে সে আলাদা আলাদাভাবে ব্যবস্থা করার
বদলে যেখানে একটা জায়গাতেই সব পেয়ে যাবে সেখানেই যাবে । আসলে মানুষ চাই নির্ঝঞ্ঝাট কাজ , যেখানে কোন চাপ থাকবে না । সেক্ষেত্রে তাঁরা কিছুটা বেশি খরচ করতেও রাজি থাকে । আপনার কাজ হবে সেটাই । অনুষ্ঠানবাড়ির
খাওয়ানো দাওয়ানোর দায়িত্ব আপনার । আপনি চাইলে এই কাজের পরিধি বাড়াতে পারেন । তবে আপাতত
ছোট বিষয় দিয়েই শুরু করা যাক ।
প্রথম ধাপ –
আপনাকে প্রথমেই
লাইট , প্যান্ডেল , রাঁধুনি , গ্যাস , কাজের মাসি , ক্যাটারিং মালিকের সাথে আলাদা আলাদাভাবে
কথা বলে রাখতে হবে । এবং তাদের রেট আপনাকে
জেনে নিতে হবে । এবং কোন একটি অনুষ্ঠানবাড়ির কাজ ধরার সময় তাদের সম্মিলিত রেটের সাথে
আপনার লাভ রেখে কাস্টমারের সাথে কথা বলতে হবে ।
আপনার ব্যবসার
প্রচার কিভাবে করবেন ?
প্রচার দুইভাবে
করতে হবে । অফলাইন এবং অনলাইন । দুটি প্রচারই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
অফলাইন প্রচার
-
অফলাইন প্রচার
করতে আপনার খুব জোর ১০০০ টাকা মত খরচ হবে । এটুকু টাকা নিশ্চয়ই আপনার আছে ! প্রথমে
আপনি হাজারটা মত পোস্টার ছাপান । এবং সেগুলিকে আপনার এলাকার বিশেষ বিশেষ জায়গায় লাগিয়ে
দিন । ১০০০ পোস্টার ছাপাতে আপনার ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা খরচ হবে । এবং সেগুলিকে লাগানোর
জন্য কোন একটি ছেলে দেখুন । তাকে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা দিলেই খুশি মনে সেগুলিকে লাগিয়ে
দেবে । তবে হ্যা ! একটা জিনিস মাথায় রাখুন পোস্টারগুলো সঠিক জায়গায় লাগাবেন । আমাদের
বাঙ্গালিদের জন্য সব থেকে সঠিক জায়গা হল চায়ের ঠেক । এর সাথে সাথে মুখে মুখেও প্রচার
করতে থাকুন ।বন্ধু আত্মীয় স্বজনদেরও বলুন ।
অনলাইন প্রচার –
অনলাইন প্রচার করতে একটি টাকাও খরচ হবে না । একটি ফেসবুক পেজ খুলবেন এবং সেখানে আপনার কাজ সম্বন্ধিত পোস্ট করতে থাকুন । বন্ধুদের বলুন সেগুলিকে শেয়ার করতে । এবং যখন কোন নতুন কাজ পাবেন । রান্নাবান্না থেকে প্যান্ডেল , ক্যাটারিং থেকে লাইট সবকিছুর ছবি তুলে রাখুন । এবং সেগুলিকে ফেসবুক পেজে পোস্ট করতে থাকুন । এর সাথে সাথে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিন । আপনি চাইলে আমরা আপনাদের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে দেব । নীচে আমাদের ল্যান্ডলাইন নম্বর দেওয়া হল ।আপনার পেজে এবং ওয়েবসাইটে মানুষ পোস্টগুলি দেখতে পাবে । তারফলে আপনার গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে । ফেসবুকে পেজ কিভাবে তৈরি করতে হয় , বা ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করবেন যদি না জানেন আমরা আপনাদের সাহায্য করবো । নিচের দেওয়া নম্বরে ফোন করুন ।
আমাদের ল্যান্ডলাইন নম্বর – ০৩৪৬৩-২৯৬৭০২
আপনার লাভ কিভাবে
রাখবেন দেখে নিন –
ছোট্ট একটা হিসাব
দেখে নেওয়া যাক । ধরা যাক আপনি একটি কাজ ধরার বদলে ১০ % লাভ রাখবেন ঠিক করেছেন । কোন
কাস্টমার আপনাকে বললো তার একটা বিয়েবাড়ির জন্য
৩০০ লোকের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করতে হবে । সেইমত এবার আপনি আপনার হিসাব দেখে নিন –
একটা কাল্পনিক হিসাব
বিষয় |
খরচ |
ডেকোরেটার্স |
৮০০০ টাকা |
রাঁধুনি |
২০০০ টাকা |
ক্যাটারিং |
১৫০০ টাকা |
গ্যাস |
২০০০ টাকা |
কাজের মাসি |
১০০০ টাকা |
মোট |
১৪৫০০
টাকা |
আপনি ঠিক করেছেন
১০ % লাভ রাখবেন ।
তাহলে ১৪৫০০ টাকার
১০ % =১৪৫০ টাকা ( হিসাবের সুবিধার্থে ১৫০০ ধরা হল )
আপনি আপনার কাস্টমারকে
রেট বললেন ১৪৫০০+১৫০০ = ১৬০০০ টাকা ।
তাহলে একটু ভেবে
দেখুন একটি কাজ ধরতে পারলে আপনার ১৫০০ টাকার লাভ থাকছে । মাসে ৫ থেকে ৬ টি কাজ পেলেই
প্রাথমিকভাবে আপনার একটি সম্মানজনক আয় করতে পারবেন । এবং এর জন্য আপনাকে খুব একটা পরিশ্রমও
করতে হবে না । রাঁধুনি থেকে ক্যাটারার সকলে নিজের নিজের কাজ করবে । শুধু আপনার কাজ
হবে তদারকি করা । সকল কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা দেখা ।
আরও একটা বিষয় আপনি যখন নিয়মিত ডেকোরেটার্স , রাঁধুনি , ক্যাটারার্স দের কাজ দেবেন স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা আপনাকে অন্যদের তুলনায় কম চার্জ নেবে ।
আপনি প্রথম দিনই
অনেক কাজ পাবেন না । হয়ত ছয়মাস আপনার কোন কাজই সেভাবে পাবেন না ।কিন্তু আপনার আশা ছাড়লে
হবে না ।প্রচার করে যেতে হবে । যে কাজই ধরবেন ছোট হোক বা বড় মন দিয়ে করবেন । কাস্টমারের
সাথে অত্যন্ত ভালো ব্যবহার রাখবেন । কাস্টমারকে যথাসম্ভব সম্মান দেবেন । তার সাথে আপনার
ভালো ব্যবহারই সেই মানুষটিই হয়ত আপনার পরের কাজ ধরে দিতে সাহায্য করবেন । আপনাকে রেকমেন্ড
করবে ।
সবশেষে কোন কাজই
ছোট নয় । ভালোবেসে কাজ করুন । সফলতায় আসবেই আসবে ।
আপনার মতামত জানাতে নিচে কমেন্ট করুন
সত্যিই খুব ভালো একটা উপার্জনের রাস্তা দেখিয়ে দিলেন, কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতি চলে গেলেও গ্রামেতে কতটা সুবিধা করতে পারবো সেটাই চিন্তার, কিন্তু সত্যি একটা খুব ভালো পথ বলে দিলেন,,,,,ধন্যবাদ
ReplyDeletePost a Comment
আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন