প্রাথমিকের বইতে বর্ণবিদ্বেষ সাসপেন্ড করা হল দুই শিক্ষিকাকে

Discrimination based on skin colour in a primary book


Discrimination based on skin colour in a primary book : প্রাথমিকের স্কুল বইয়ে বর্ণবিদ্বেষ সংক্রান্ত পাঠ নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক বর্ণবিদ্বেষের এই ঘটনাকে ঘিরে সাসপেন্ড করা হলো বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এবং এক সহ শিক্ষিকাকে  


বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকের ইংরেজি পাঠ্যপুস্তকে বর্ণবিদ্বেষী  পাঠ দেওয়ার অভিযোগে  শেষ পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হলো বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী মল্লিক এবং সহশিক্ষিকা বর্ণালী দাস রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন ওই দুজন শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হল

 

শ্রাবণী দেবী হলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আর বর্ণালী দেবী হলেন একজন সহ শিক্ষিকা  বর্ধমান পৌরসভা পরিচালিত বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাই স্কুলে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পঠন পাঠন হয়

 

জানা গেছে স্কুলের প্রাক প্রাথমিক ইংরেজি বইয়ের U অক্ষরে পরিচয় ঘটাতে গিয়ে 'ugly' শব্দটি লিখে ব্যবহার করা হয়েছে   'ugly' শব্দটি লিখে তার বাংলা অর্থ বুঝানোর জন্য 'কুৎসিত' শব্দটি লেখা  হয়েছে এবং সমস্যা তৈরি হয়েছে বইটিতে কুৎসিত লেখার সাথে সাথে একজন কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের ছবি দেয়া হয়েছে 


এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয় ঘোর বিতর্ক বিষয়টি প্রকাশ্যে এলেই সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক স্বপন কুমার দত্ত এই ঘটনার কথা জানান রাজ্য শিক্ষা দফতর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে তারপরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুজন শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন

 

অন্যদিকে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে উত্তাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  এই মুহূর্তে বর্ণবিদ্বেষ অর্থাৎ এক কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিনীকে হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে জ্বলছে এই নিয়ে গোটা বিশ্বে এক বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এইরকম ঘটনার মধ্যে আবার সেখানে খোদ বাংলার বুকে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার যথেষ্ট অস্বস্তিদায়ক তাই ঘটনাটি তে অভিভাবকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিবাবকরা জানাচ্ছেন তাদের বাচ্চারা এই ধরনের শব্দ ব্যবহার শিখলে তাদের ভবিষ্যৎ কখনই সুন্দর হতে পারে না ! কৃষ্ণাঙ্গরা খারাপ দেখতে এই ধারণা এত অল্প বয়সে তাদের মধ্যে কেন ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে ? শিশুরা এরকম শিক্ষা নিয়ে কখনই বড় হতে পারবে না ?

 

অভিভাবকদের দাবি দ্রুত পাঠ্য বইয়ের তালিকা থেকে এই বইটি কে বাদ দিতে হবে যে বই মানুষের সাথে মানুষের ভেদাভেদ শেখায় শিশুদের মনে বর্ণ বিদ্বেষের বীজ বোনে, সেই বই বা সেরকম শিক্ষার কোন প্রয়োজন নেই এরকম শিক্ষা দিয়ে শিশুদেরকে ভুল পথে চালনা করা হচ্ছে শিশুদেরকে ভেদাভেদ শেখানো হচ্ছে মানুষকে খারাপ করে তাদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে যত শীঘ্রই সম্ভব এই বইটিকে বাতিল করা হোক । 


অভিভাবকদের এই দাবী এই শিক্ষামন্ত্রী মেনে নিয়েছেন ।শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন এই বইটি সরকার স্বীকৃত নয় । যারা এই বই বের করেছেন তাদের মানসিকতা দেখে তিনি স্তম্ভিত । এবং তিনি এই হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন যদি রাজ্যের কোন স্কুলে এই ধরনের বই ব্যবহার করা হয় তার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।এবং যে স্কুলে এই বইটি পড়ানো হচ্ছিল তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে পড়ানো হচ্ছিল । এইকারন সেই বিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ।

 

জানা গেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ  এই ঘটনার জন্য লজ্জিত এবং এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্ষমাও চেয়েছেন এবং জানিয়েছেন ঘৃণ্য বিষয়টি এই বইতে ছিল তা তাদের নজর এড়িয়ে গিয়েছে


বর্নবিদ্বেষ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী কি বললেন দেখুন


Post a Comment

আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন

Previous Post Next Post