দুটি শকুন ও একটি ছোট্ট মেয়ে
দুটি শকুন ও একটি ছোট্ট মেয়ে |
The vulture and the little girl : ছবিটার কথা মনে পড়ে? ছবিটার নাম ছিল "The vulture & the little girl.
ছবিটিতে একটি শকুন খিদেয় মরণাপন্ন একটি ছোট্ট বাচ্চা মেয়ের মৃত্যুর অপেক্ষা করছে। কেভিন কার্টার নামের একজন দক্ষিণ আফ্রিকান চিত্রসাংবাদিক ১৯৯৩ এর মার্চে সুদানের দুর্ভিক্ষের সময় তোলেন। ছবিটির জন্য ওনাকে "পুলিৎজার" সম্মানে সম্মানিত করা হয়। কিন্তু কাটার এত বড় সম্মান পাওয়ার পরও মাত্র 33 বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন।
কিন্তু আত্মহত্যার কারণ কি ছিল ❓
আসলে তিনি যখন সে সময় এত বড় পাওয়া সম্মান উদযাপনে ব্যস্ত ছিলেন, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তার পুরস্কার প্রাপ্তির খবর দেখানো হচ্ছিল, সে সময় ফোন ইন্টারভিউয়ে একজন জিজ্ঞেস করেন শেষ পর্যন্ত মেয়েটির কি হয়েছিল ?
কার্টার উত্তর দেন, সেটা তিনি বলতে পারবেন না কারণ ওনার ফ্লাইট ধরার তাড়া ছিল।
তিনি আবার জিগ্যাসা করেন "সেখানে কটা শকুন ছিল"
কর্টার বলেন "মনে হয় একটাই ছিল"
ফোনের অপর প্রান্তের ব্যাক্তি তখন বলেন "আমি বলছি সেদিন ওখানে দুটো শকুন ছিল, তারমধ্যে একজনের হাতে ক্যামেরা ছিল"।
এই কথার মর্মার্থ উপলব্ধি করে কার্টার বিচলিত হয়ে পড়েন, শেষে অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেন।
যেকোনো পরিস্থিতিতে কোনো কিছু পাওয়ার জন্য মানবিক হওয়া উচিত। কার্টার আজ জীবিত হতেন যদি তিনি খিদে মৃতপ্রায় অসুস্থ বাচ্চাটিকে ইউনাইটেড মিশনের ফিডিং সেন্টারে পৌঁছে দিতেন, ফিডিং সেন্টারটি মাত্র ১/২ মাইল দুরে ছিল, যেখানে হয়তো বাচ্চাটি পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল।
আজ 26 বছর পরও ক্যামেরা হাতে নিয়ে শকুনগুলো সারা ভারতের বাড়ির দিকে ফেরা অভুক্ত, পায়ে হেঁটে হাজার কিলোমিটার চলা শ্রমিকদের ছবি তুলতে ব্যস্ত। বাচ্চাগুলোকে দেখেও কোন হেলদোল নেই।
এই শকুনগুলো শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়ে যত না বেশি উদ্বিগ্ন তার থেকে বেশি চিন্তায় খবর জোগাড় করা নিয়ে, চ্যানেলের TRP বাড়ানো নিয়ে। এরা মৃত শ্রমিক ও বাচ্চাদের লাশে মশালা ঢেলে ব্রেকিং নিউজ জোগাড়ে ব্যস্ত।
কেভিন কার্টারের আত্মসম্মানবোধ ছিল, তাই সে আত্মহত্যা করেছিল। কিন্তু এই সাংবাদিক নামের শকুনগুলো সম্মানের সঙ্গে আত্মা বেঁচে ব্রেকিং নিউজ বানাতে ব্যস্ত।
( ইচ্ছে ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত )
মন ছুয়ে যাওয়ার মত চরম বাস্তব জীবনেদেখা অমানুষের কাজ
ReplyDeletePost a Comment
আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন