ছাত্র ছাত্রীদের বাড়ি গিয়ে পড়াবেন শিক্ষকরা জানালেন শিক্ষা মন্ত্রী
The teachers will go home and teach the students said the Education Minister


The teachers will go home and teach the students said the Education Minister : আগামী ৩০ শে জুন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে । এমনই ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রী করেছেন । করোনার জেরে মার্চ মাস থেকে স্কুল কলেজ সব বন্ধ রয়েছে । এই অবস্থায় ছাত্র ছাত্রীরা যাতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় তাই আগেই চালু হয়েছে অনলাইন ক্লাস ।

কিন্তু অনলাইন ক্লাসের কিছু সিমাবদ্ধতা রয়েছে আর সেখান থেকেই শিক্ষামন্ত্রী কিছু নতুন উপায় চাইছে যেন শিক্ষার্থীরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় । এই বিষয়টিকে মাথায়  রেখে গত বুধবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ  চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন দরকার পরলে স্থানীয় শিক্ষকরা ছাত্র ছাত্রীদের বাড়ি গিয়ে পড়াবেন । 

ভাবনাটা এরকম ! ছাত্র ছাত্রীরা স্কুল যেতে পারছে না তাতে কি ! স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পৌঁছাবে । এবিষয়ে তিনি রাজ্যের সকল শিক্ষকদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন । বিষয়টি নিয়ে এস.আই এবং ডি.আই দের সাথেও তিনি কথা বলছেন । 

তিনি গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন রাজ্যের আটটি জেলা আমফানের জেরে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে তিনি জানিয়ছেন ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে । ১০০০ কোটি টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে । এর আগেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন উচ্চমাধ্যমিকের বাকি তিনটি পরীক্ষা ২৯ শে জুন , ২ জুলাই এবং ৬ জুলাই আয়জিত হবে । তিনি সেই কথা পুনরায় উল্লেখ করে জানান আমফান ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে প্রায় ৪৬২ টি পরীক্ষা কেন্দ্র । সেই পরীক্ষাকেন্দ্রের পরিপূরক পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচন চলছে । 

করোনা , আমফান ছাড়াও অন্যান্য রাজ্য থেকে প্রচুর পরিমানে পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে প্রবেশ করছে ফলে তাদের আইসোলেশন রাখার জন্য স্কুলগুলিকে ব্যবহার করা হবে । এছাড়াও শিশুরা যেহেতু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারবে না তাই আগামী ৩০ শে জুন পর্যন্ত স্কুল বন্ধের ঘোষণা করেন । কলেজ কবে খুলছে ? এবিষয়ে তিনি বলেন বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে । 

স্কুল বন্ধের ফলে যাতে শিশুদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় সেই উদ্দেশ্যে তিনি বলেন একটি বিকল্প ব্যবস্থার ভাবনাচিন্তা করছেন । যাতে স্থানীয়ভাবে শিক্ষকরা দলবেঁধে শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষাদান করতে পারেন এবং শিশুদের চনমনে রাখতে পারেন সেবিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে । যদিও কিভাবে এটি সম্ভব সেবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি ।  তবে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন এবিষয়ে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলির কাছেও মতামত চাওয়া হয়েছিল । তারা তাদের মত দিয়েছেন । খুব শীঘ্রই হয়ত স্পষ্ট নির্দেশিকা আসতে চলেছে । 


ঠিক কি বললেন শিক্ষামন্ত্রী ? শুনে নিন 


Post a Comment

আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন

Previous Post Next Post