'ফার্মাকোভিজিলেন্স ইন ক্লিনিক্যাল রিসার্চ' বিষয়ের কর্মমুখী কোর্স পড়ানো হচ্ছে
বিজ্ঞান শাখার গ্রাজুয়েট ছেলেমেয়েরা গতানুগতিকতার বাইরে বেরিয়ে অন্য ধরনের উজ্জ্বল কেরিয়ার গড়তে চাইলে ফার্মাকোভিজিলেনস্কে পেশা হিসাবে নিতে পারেন। জনস্বাথ্য সম্পর্কে সচেতনতার হার ভারতে ভালো নয়।
Cick To Join Our - Whatsapp Group
JOIN : - WB PRIMARY TET WHATSAPP GROUP
ফলে, ওষুধের অব্যবহার জনিত কারণে নানা সময়ে অকারণ প্রাণহানি ও স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটনা শোনা যায়। দরকারের অতিরিক্ত ওষুধ ব্যবহারের দায় ক্রেতার ওপর বর্তালেও পরিবেশক কিংবা বিক্রেতার উপরেও কিন্তু সোমার দায় বর্তায়। তাই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ওষুধের গুণমান ও সঠিক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া দরকার। ফার্মাকোভিজিলেন্স আসলে সেই বিষয়েরই একটা অংশ মাত্র, যা শুধু ভারতে নয়, বিদেশেও গুরুত্বপূর্ণ পেশা হিসেবে আজ বিবেচ্য।
ফার্মাচোভিজিলেন্স এর মাধ্যমে ওষুধ চিহ্নিতকরণ, তার মান বিচার ও পরিমাণ সম্পর্কে খেয়াল রাখা ও তার উন্নতি সাধনের চেষ্টা করা হয়। এক কথায় এই পেশার প্রধান কাজ বাজার চলতি ওষুধের ওপর নজরদারি রাখা। রোগের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওষুধের চাহিদা বাড়ছে। বাজারে যেসব ওষুধের বাহুল্য আছে, সেই সব ওষুধের গুণমান রক্ষার জন্য ফার্মাকোভিজিলেন্সে প্রশিক্ষিত দের একান্ত দরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের এক সমীক্ষা অনুসারে, আগামী দিনে সারাদেশের ওষুধ শিল্পে অন্ততপক্ষে ৫০,০০০ ফার্মাকোভিজিলেন্সের পেশাদার দরকার হবে। অথচ চাহিদার তুলনায় যোগ্য প্রশিক্ষকের এখন যথেষ্ট অভাব।
এই ক্ষেত্রে যোগ্য পেশাদার তৈরীর জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টার ও আমরি হসপিটাল এর যৌথ উদ্যোগে পড়ানো হচ্ছে 'ফার্মাকোভিজিলেন্স ইন ক্লিনিক্যাল রিসার্চ' বিষয়ের কর্মমুখী কোর্স। পূর্ব ভারতে একমাত্র এখানেই প্রথম এই ধরনের কোর্স পড়ানো হয়।
কারা পড়তে পারেন : বায়োসাইন্সর যে কোন শাখার গ্যাজুয়েট বা, ফার্মাসি বা, মেডিক্যাল (এম.ডি, এম.বি.বি.এস, বি.ডি.এস, বি.এইচ.এম.এস) বা নার্সিং এর গ্রাজুয়েট ছেলেমেয়েরা এই কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। এমনকি প্যারামেডিকেল কোর্স এর ডিপ্লোমা কোর্স পাশ ছেলেমেয়েরাও ভর্তির জন্য যোগ্য।
প্রশিক্ষণের মেয়াদ :মোট ৯ মাসের সার্টিফিকেট কোর্স। এর মধ্যে ৩ মাসের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস হয়।ওষুধ শিল্পে নজরদারির জন্য একেবারে প্রাথমিক স্তরের ফার্মাকোভিজিলেন্স থেকে শুরু করে ক্লিনিক্যাল রিসার্চ কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সে ব্যাপারে শিক্ষা দেওয়া হয়। কেমন করে কোন ফার্মাকোভিজিলেন্স সেন্টার তৈরি করে কাজ শুরু করা যায় ফার্মাকোভিজিলেন্স বিষয়ের তথ্য বিশ্লেষণের পদ্ধতি কেমন বা এ বিষয়ের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বা ফার্মাকোপিডেমোলজি সবটাই এই কোর্সের অন্তর্গত। এছাড়াও এই কোর্সের অন্তর্ভুক্ত বিষয় এর মধ্যে আছে সি.আর.ও অপারেশন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, মেডিক্যাল রাইটিং, ডাটা ম্যানেজমেন্ট,সেফটি রিপোর্টং, ড্রাগ ডিসকভারি, গুড ক্লিনিক্যাল প্রাক্টিস গাইডেন্স। ক্লাস হয় সপ্তাহে এক দিন। শনিবার বেলা ১ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ক্লাস।
সীট : ২৫ টি।
কাজের সুযোগ : পড়ার জন্য পড়ানো নয়,কোর্স শেষে সফল প্রার্থীদের কর্মসংস্থানের সাহায্য করা হয়। গত ১০ বছর ধরে ক্লিনিক্যাল রিসার্চ কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। ওষুধ শিল্পের প্রসার, উন্নয়ন ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে এই পেশাদারদের ভূমিকা দিন দিন বাড়ছে। কোর্স শেষে চাকরির সুযোগ আছে এইসব ক্ষেত্রে : ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা, ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন, হাসপাতাল, রিসার্চ ল্যাবরেটরি, বিজনেস প্রসেস অর্গানাইজেশন সংস্থা ও নিয়ামক সংস্থা। এই কোর্সে ভর্তির জন্য দরখাস্ত করতে হবে নির্ধারিত ফর্মে। হাতে হাতে ফর্ম পাবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলস কাউন্টার থেকে। ফর্ম পাওয়া যাবে ও পূরণ করা দরখাস্ত জমা দিতে হবে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে। শেষে সফলদের ১০০% চাকরিতে সহায়তা করা হয়। যোগাযোগ : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টার, বায়ো-ইক্যুইভ্যালেন্স সেন্টার বিল্ডিংয়ের চার তলায় (নজরুল ভবনের উল্টোদিকে),
কলকাতা-৩২।
ফোন : ৯০৮৮৪০১৩৫৪।
প্রাইমারী টেট প্রার্থীদের জন্য তৈরি অ্যাপ
WB PRIMARY TET
রাজ্য সরকার তথা কেন্দ্রীয় সরকারের সকল প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য পেতে "কর্মসাথী প্রকল্প" নামে অ্যাপটিকে ডাউনলোড করুন । অ্যাপটি গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন - CLICK HERE
আমাদের তৈরি প্রচেষ্টা প্রকল্প APP টিতে আপনি প্রচেষ্টা প্রকল্প সম্বন্ধিত সমস্ত তথ্য পাবেন । তবে এটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি । প্রচেষ্টা প্রকল্প সম্বন্ধিত তথ্য সরবরাহ করায় অ্যাপটির মূল উদ্দেশ্য । অ্যাপটিকে ডাউনলোড করতে নিচের নিচের বোতামে ক্লিক করুন -
MOST IMPORTANT LINKS
Post a Comment
আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন