NET পরীক্ষার জন্য দরখাস্ত নেওয়া শুরু
পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা ভারতের কলেজগুলির 'অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর/ লেকচারশিপ' পদে চাকরি ও 'জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপে' এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আর বৈজ্ঞানিক ও শিল্প সংক্রান্ত গবেষণা সংসদ (CSIR-UGC Test) 'ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট বা 'NET-June' পরীক্ষার জন্য দরখাস্ত নেওয়া হচ্ছে।
Cick To Join Our - Whatsapp Group
JOIN : - WB PRIMARY TET WHATSAPP GROUP
বি.এস (৪ বছর), বি.ই /বি.টেক /বি.ফার্মা /এম.বি.বি.এস /বি.এস.সি (অনার্স) /ইন্টিগ্ৰেটেড বি.এস -এম.এস পাশ ছেলেমেয়েরা মোট অন্তত ৫৫% (তপশিলী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী হলে ৫০%) নম্বর পেয়ে থাকলে আবেদন করতে পারেন। ভৌত বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, গাণিতিক বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স, আর্থ, অ্যাটমোস্ফিয়ারিক,
ওশান ও প্ল্যানেটরি সায়েন্স বিষয় নিয়ে এম.এসসি কোর্স পাশ ছেলেমেয়েরা মোট অন্তত ৫৫% (তপশিলী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ও ডক্টরেট ডিগ্ৰিপ্রাপ্ত প্রার্থীরা ১৯-৯-১৯৯১ এর আগে মাস্টার ডিগ্ৰি করে থাকলে ৫০%) নম্বর থাকলে আবেদন করতে পারেন। যাঁরা এবছর ওইসব শাখার এম.এসসি বা সমতুল কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাঁরাও আবেদনের যোগ্য।
জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপের পরীক্ষার বেলায় বয়স হতে হবে ১-৭-২০২০ র হিসেবে ২৮ বছরের মধ্যে। তপশিলী, ও.বি.সি, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও মেয়েরা বয়সে ৫ বছর ছাড়া পাবেন। তবে লেকচারশিপ/অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের জন্য বয়সের কোনো কড়াকড়ি নেই। এই পরীক্ষায় পাশ করলে সরাসরি অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন বা, মাসিক স্টাইপেন্ড নিয়ে জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ নিয়ে পড়াশোনা চালাতে পারবেন। জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপের বেলায় প্রথম ২ বছর স্টাইপেন্ড পাবেন মাসে ৩১,০০০ টাকা। এছাড়াও বার্ষিক অনুদান পাবেন ২০,০০০ টাকা। ২ বছর পর পি.এইচ.ডি হিসাবে নাম নথিভুক্ত করে থাকলে তখন সিনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ হিসাবে মাসে ৩৫,০০০ টাকা স্টাইপেন্ড পাবেন।
ফেলোশিপের জন্য যাঁরা এই পরীক্ষায় পাশ করবেন, তাঁরা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের যোগ্যতা পাবেন। আর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের যোগ্যতা পাবেন। আর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের পরীক্ষায় পাশ করলে জুনিয়র ফেলোশিপের যোগ্যতা পাবেন।
প্রার্থী বাছাই করবে 'ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এন.টি.এ)'। ২০২১ সালের এই 'নেট' পরীক্ষা হবে ২৯ জানুয়ারি, ৫ ফেব্রুয়ারি ও ৬ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা হবে সি.বি.টি মোডে। দুটি ধাপে পরীক্ষা হবে। প্রথমে শিফটের পরীক্ষা হবে ৯ টা থেকে ১২ টা ও দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা হবে ৩ টা থেকে ৬ টা। পূর্ব ভারতে এইসব কেন্দ্রে : কলকাতা, গুয়াহাটি, জামশেদপুর ও ভুবনেশ্বরে।
এই পরীক্ষায় থাকবে ৩ টি পার্ট। ৩ ঘন্টার ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অবজেক্টিভ টাইপের প্রশ্ন হবে এইসব বিষয়ে (ব্রাকেটে সাবজেক্ট কোড দেওয়া হল) :
(১) কেমিক্যাল সায়েন্স (সাবজেক্ট কোড ৭০১),
(২) আর্থ, অ্যাটস্মোফিয়ারিক,
ওশান ও প্ল্যানেটরি (সায়েন্স সাবজেক্ট কোড ৭০২),
(৩) লাইফ সায়েন্স (সাবজেক্ট কোড ৭০৩),
(৪) ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্স (সাবজেক্ট কোড ৭০৪),
(৫) ফিজিক্যাল সায়েন্স (সাবজেক্ট কোড ৭০৫)।
প্রশ্ন হবে ইংরিজি ও হিন্দি ভাষায়। প্রশ্নপত্র হবে ৩ টি পার্টে। পার্ট-এ তে থাকবে এইসব বিষয়ে : জেনারেল অ্যাপ্টিটিউট, লজিক্যাল রিজনিং, গ্ৰাফিক্যাল অ্যানালাইসিস, অ্যানালিটিক্যাল অ্যান্ড নিউমেরিক্যাল এবিলিটি, কোয়ান্টিটেটিভ কম্পারিজন, সিরিজ ফর্মেশন, পাজল ইত্যাদি।
পার্ট-বি তে থাকবে বিষয়ভিত্তিক মাল্টিপল চয়েজ টাইপের প্রশ্ন। পার্ট-সি তে থাকবে সায়েন্টিফিক কনসেপ্ট বিষয়ের জ্ঞান ও প্রয়োগ।
প্রথম ও দ্বিতীয় পার্টে প্রতিটি প্রশ্নের মান থাকবে ২ নম্বর আর তৃতীয় পার্টে প্রতিটি প্রশ্নের মান থাকবে ৪ নম্বর। প্রথম ও দ্বিতীয় পার্টে প্রতিটি প্রশ্নের ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত নম্বর থেকে ০.৫ নম্বর কাটা যাবে। তৃতীয় পার্টে প্রতিটি প্রশ্নের ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত নম্বর থেকে ১ নম্বর কাটা যাবে।
কেমিক্যাল সায়েন্সের বেলায় প্রথম পার্টে ২০ টি প্রশ্নের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ টি, দ্বিতীয় পার্টে ৪০ টি প্রশ্নের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৫ টি, তৃতীয় পার্টে ৬০ টি প্রশ্নের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫ টি অর্থাৎ মোট ১২০ টি প্রশ্নের মধ্যে ৭৫ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
আর্থ, অ্যাটমোস্ফিয়ারিক,
ওসান ও প্ল্যানেটরি সায়েন্সের বেলায়প্রথম পার্টে ২০ টি প্রশ্নের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ টি, দ্বিতীয় পার্টে ৫০ টি প্রশ্নের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৫ টি, তৃতীয় পার্টে ৮০ টি প্রশ্নের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫ টি অর্থাৎ মোট ১৫০ টি প্রশ্নের মধ্যে ৭৫ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
লাইফ সায়েন্সের বেলায় প্রথম পার্টে ২০ টি প্রশ্নের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ টি, দ্বিতীয় পার্টে ৫০ টি প্রশ্নের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৫ টি, তৃতীয় পার্টে ৭৫ টি প্রশ্নের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫ টি অর্থাৎ মোট ১৪৫ টি প্রশ্নের মধ্যে ৭৫ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্সের বেলায় প্রথম পার্টে ২০ টি প্রশ্নের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ টি, দ্বিতীয় পার্টে ৪০ টি প্রশ্নের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫ টি, তৃতীয় পার্টে ৬০ টি প্রশ্নের মধ্যে সর্বোচ্চ ২০ টি অর্থাৎ মোট ১২০ টি প্রশ্নের মধ্যে ৭০ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
ফিজিক্যাল সায়েন্সের বেলায় প্রথম পার্টে ২০ টি প্রশ্নের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ টি, দ্বিতীয় পার্টে ২৫ টি প্রশ্নের মধ্যে সর্বোচ্চ ২০ টি, তৃতীয় পার্টে ৩০ টি প্রশ্নের মধ্যে সর্বোচ্চ ২০ টি অর্থাৎ মোট ৭৫ টি প্রশ্নের মধ্যে ৫৫ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
দরখাস্ত করবেন অনলাইনে, ২ জানুয়ারির মধ্যে। এই ওয়েবসাইটে : www.nta.ac.in অনলাইনে দরখাস্ত করার আগে পাশপোর্ট মাপের ফটো (১০ থেকে ২০০ কে.বির মধ্যে) ও সিগনেচার (৪ থেকে ৩০ কে.বি র মধ্যে) 'JPEG Format' এ স্ক্যান করে নেবেন।
প্রথমে ওপরের ওই ওয়েবসাইটে গিয়ে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাবমিট করবেন। তখন সিস্টেম জেনারেটেড অ্যাপ্লিকেশন নম্বর নোট করে নেবেন। এবার স্ক্যান করা ফটো ও সিগনেচার আপলোড করবেন। তারপর পরীক্ষা ফী বাবদ ১,০০০ (ও.বি.সি দের বেলায় ৫০০ তপশিলী জাতি, তপশিলী উপজাতি ও তৃতীয় লিঙ্গের বেলায় ২৫০) টাকা ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ইউ.পি.আই বা নেট ব্যাঙ্কিংয়ে জমা দেবেন, ৩ জানুয়ারির মধ্যে। প্রতিবন্ধীদের ফী লাগবে না। টাকা জমা দেওয়ার পর সিস্টেম জেনারেটেড অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম প্রিন্ট করে নেবেন। ফর্মে ভুল হয়ে থাকলে অনলাইনে সংশোধন করতে পারবেন ৫ থেকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে। আরো বিস্তারিত তথ্য পাবেন ওই ওয়েবসাইটে।
Post a Comment
আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন