শিক্ষকরা দল বেঁধে বেঁধে শিক্ষা দিতে গেলে কিভাবে সোশ্যাল ডিস্টেনসিং মানা সম্ভব ?
How social distancing is possible if teachers will going to teach in a group


How social distancing is possible if teachers will going to teach in a group : গত বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন শিক্ষকরা ছাত্র ছাত্রীদের বাড়ি গিয়ে শিক্ষা দেবেন । এনিয়ে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের মতামত চাওয়া হয়েছিল এবং সেই বিষয়ে তারা তাদের মতামতও দিয়েছেন । কিন্তু সেই সাংবাদিক সম্মেলনেই শিক্ষামন্ত্রীর একটি মন্তব্যকে ঘিরে উঠছে প্রশ্ন ! শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন শিক্ষকরা স্থানীয়ভাবে দল বেঁধে বেঁধে শিক্ষা দিতে যাবেন । এইবিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন


গত বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন আমফান রাজ্যের আটটি জেলায় ভীষণ আঘাত হেনেছে । সাথে সাথে অন্যান্য জেলাতেও বেশ কিছু ক্ষতি করেছে । তিনি জানিয়েছেন প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রায় ৭০০ কোটি ক্ষতি করেছে আমফান ঘূর্ণিঝড় । এই ক্ষতি হাজার কোটি টাকাও ছারাতে পারে ।

আমফান ঘূর্ণিঝড়ের ফলে রাজ্যের বেশ কিছু বিদ্যালয় ভীষণ ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে । কোথাও বাথরুম ভেঙ্গে পরেছে তো কোথাও মিড ডে মিলের জন্য তৈরি রান্নাশাল ভেঙ্গে পরেছে । এর বাইরে যত দিন এগোচ্ছে করোনার করাল থাবা আরও বেশি বেশি করে গ্রাস করছে । অন্যদিকে ভিন্ রাজ্য থেকে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ঢুকে পরছে ফলে তাদের থাকার জায়গার জন্য স্কুলগুলিকে ব্যবহার করা হবে । একইসাথে স্কুল চালু হলে ছাত্র ছাত্রীরা কতটা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারবে ? সেনিয়েও উঠছে প্রশ্ন ।

এইসকল কথা মাথায় রেখে শিক্ষামন্ত্রী গত বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন আগামী ৩০ শে জুন পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে । কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় যাতে ছাত্র ছাত্রিদের কোন ক্ষতি না হয় সেজন্য কিছু বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে । আর এই বিকল্প ব্যবস্থার কথা বলতে গিয়েই শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন , "কিছু বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবে হচ্ছে যাতে শিক্ষকরা স্থানীয়ভাবে দল বেঁধে বেঁধে গিয়ে শিক্ষা দিতে পারেন !"

আর এরপরেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন ? যেখানে সর্বত্র সোশ্যাল ডিস্টেসিং বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে সেখানে শিক্ষামন্ত্রী কিভাবে দল বেঁধে বেঁধে গিয়ে শিক্ষা দিতে হবে এর অর্থ কি ? এই পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে দল বেঁধে বেঁধে শিক্ষা দিতে যাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত ! এর ফলে করোনার প্রকোপ কমার বদলে বেড়ে যাবে না তো ? এরকম হাজারো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।

এবিষয়ে শিক্ষামহলের একাংশের বক্তব্য হয়ত গতকাল শিক্ষামন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিষয়টি পরিস্কার হয়নি । খুব শীঘ্রই হয়ত এবিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা আসবে । এবং শিক্ষকরা চিন্তামুক্ত হবেন ।


শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঠিক কি বলেছেন শুনে নিন !




Post a Comment

আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন

Previous Post Next Post